নামাযের ভিতরে অজু ভঙ্গকারীর নামায
একাকী নামাযী ব্যাক্তির নামাযে যদি কো কারণ বশতঃ অজু ভঙ্গ হইয়া যায়, তবে সাথে সাথে নামায ছাড়িয়া কথাবার্তা না বলিয়া চুপ থাকিয়া জলদি করিয়া অজু করিয়া যেইখানে নামাযের অজু ভঙ্গ হইয়াছিল সেইখান থেকে নামায শুরু করিবে এবং বাকী নামায শেষ করিবে ।
নামাযের মধ্যে যদি ইমামের অজু ভঙ্গ হইয়া যায়, তবে ‍পিছনের কাতারের মুক্তাদিগণের মধ্যে যিনি ইমামতির জন্য যোগ্য তাহাকে ইমাম নিযুক্ত করিয়া নিজে চুপে চুপে অজু করিয়া আসিবে । নতুন ইমাম বাকী নামায যথা নিয়মে আদায় করিবে । ইমাম ব্যাক্তি অজু করিয়া আসিয়া তাহার বর্তমানে যেই নামায পড়া হইয়াছে উহা একা একা আদায় করিয়ার জাময়াতে শরীক হইবে ।আর যদি জাময়াত শেষ হইয়া থকে, তবে যেখন থেকে তাহার অজু ভঙ্গ হইয়াছে সেখান থেকে আদায় করিবে ।
যদি নামাযের মধ্যে কোন মুক্তাদী লোকের অজু ভঙ্গ হইয়া যায় তবে কথা না বলিয়া চুপে চুপে জলদি করিয়া অজু বানাইয়া আসিয়া ইমামের যেই নামায তাহার অবর্তমানে পড়া হইয়াছে উহা একা একা সূরা কেরাত ছাড়া আদায় করিয়া জাময়াতে শরীক হইবে । আর যদি জাময়াত শেষ হইয়া থাকে , তবে বাকী নামায় সূরা কেরাত ছাড় আদায় করিবে ।
ইমাম সাহেব যদি অজু ভঙ্গ অবস্থায় কাহাকেও ইমামতি নির্বাচিত কিরিয়া না যায়, তবে মুক্তাদিগণের নামায ভঙ্গ হইয়া যাইবে । পুনঃ প্রথম হইতে নামায আদায় করিতে হইবে । যদি কোন লোকোর শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতুর পরে অজু ভঙ্গ হইয়া যায়, তবে চুপ থাকিয়া কথবার্তা না বলিয়া অজু করিয়া বৈঠকে বসিয়া দুরূদ পাঠ করিয়া সালাম ফিরাইয়া নাময শেষ করিবে ।